Sunday, August 9, 2009

UTTARAKHAND

উত্তরাঞ্চল-কুমায়ুন হমালয়

উত্তরাঞ্চল বা উত্তরাখন্ডের দুটি প্রধান অংশ হলো গাড়োয়াল এবং কুমায়ুন. কুমায়ুন হিমালয় অংশে দেখার মতো যায়গাগুলি হলো- নৈনিতাল, রানিক্ষেত, মুক্তেশ্বর, শীতলাক্ষেত, আলমোরা, বিনসর, চৌকরি, কৌশিনি, মুন্সিয়ারি, পিথোরাগড়, মায়াবতী আশ্রম, লোহাঘাট, টনকপুর ইত্যাদি

গাড়োয়াল হিমালয় অংশে দেখার মতো যায়গাগুলি হলো- হরিদ্বার, হৃষিকেশ, দেরাদুন, মুসৌরী, রুদ্রপ্রয়াগ, কেদারনাথ, উখিমঠ, বদ্রীনাথ, উত্তরকাশী, ডোডিতাল, গঙ্গোত্রী, গোমুখ, যমুনোত্রী ইত্যাদি.

নৈনিতাল-


এই শহরটি ব্রিটিশদের হাতে তৈরী. এখানকার নৈনী লেক চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা, নিল জলের এই লেকটির অকর্ষনে পর্যটকরা দূর থেকে ছুটে আসেন. এখানে বেরাতে এলে নৌকায় চেপে এই লেকে অবশ্যয় ঘুরবেন ভালো লাগবে. নৈনিতাল শহরে এটি ছাড়াও দেখবার মতো অনেক যায়গা আছে, যেমন- ১৮৮০ সালের নয়নাদেবির মন্দীর, এটি লেকের ধারেই অবস্হিত. কথিত আছে সতির বাম নয়ন এখানে পড়েছিল. লেকের একদিকে আছে মাল্লিতাল যেখান থেকে রোপওয়ে উঠে গেছে স্নোভিউ পয়েন্টে. ৬ কিলোমিটার দুরে নয়নাপিক আছে যাকে অনেকে চিনা পিক বলেন. এখান থেকে হিমালয়কে খুব ভালোভাবে দেখা যায়. ২২৭০ মিটার উচ্চতায় স্নোভিউ পয়েন্ট (অক্টোবর, নভেম্বর মাসে এখান থেকে হিমালয়ের অনেকগুলি তুষারশৃঙ্গকে ভালোভাবে দেখা যায়). এছাড়া দেখার মতো কয়েকটি জায়গা হলো- কিলবারি, খুরপাতাল, হনুমানগাড়ি, ভীমতাল ইত্যাদি. জিম করবেট ন্যাশানাল পার্ক নৈনিতাল থেকে দুরত্ব প্রায় ১১৮ কিলোমিটার. এই ন্যাশানাল পার্কে বাঘ, চিতাবাঘ, হাতি, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, শিয়াল, লেঙ্গুর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়. এই জাতিয় উদ্যানটি অক্টোবর থেকে জুন মাস পর্যন্ত খোলা থাকে. কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগমের সাথে যোগাযোগ করে এই জাতিয় উদ্যানটি দেখতে পারেন. (ফোন নং- ০৫৯৪২ ২৩৬৩৫৬).

নৈনিতাল আসার জন্য হাওড়া থেকে ৩০১৯ আপ বাঘ এক্সপ্রেস যেটি কাঠগোদাম স্টেষন যাচ্ছে. এই ট্রেন ধরে কাঠগোদাম স্টেষন চলে আসুন. কাঠগোদাম থেকে নৈনিতালের দুরত্ব ৩৪কিলোমিটার. কাছাকাছি এয়ারপোর্ট হল- পালাম এয়ারপোর্ট. এছাড়া হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে বেরলি চলে আসুন সেখান তারপর ওখান থকে অটো নিয়ে চলে আসুন বাস ডিপোতে. সরকারি বাসে করে চলে আসুন হলদোয়ানী. হলদোয়ানী থেকে নৈনিতালের দুরত্ব প্রায় ৪০কিলোমিটার. হাওড়া থেকে ৩০০৫ হাওড়া অমৃতসর এক্সপ্রেস ধরে চলে আসুন লখনউ চারবাগ স্টেষনে. সেখান থেকে আয়েশবাগ. আয়েশবাগ স্টেষন থেকে ৫৩০৮ নং লালকুয়া-নৈনিতাল এক্সপ্রেস ধরে চলে আসুন লালকুয়া স্টেষনে. লালকুয়া থেকে নৈনিতালের দুরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার. লালকুয়া এবং হলদোয়ানি তে আছে বাসস্ট্যান্ড ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড. এখান থেকে নৈনিতাল চলে আসুন.


ট্রেনের সময়সূচী-

বাঘ এক্সপ্রেস- (৩০১৯) হাওড়ায় ছাড়বে- প্রতিদিন রাত্রি ৯টা ৪৫মিনিটে, হলদোয়ানি পৌছাবে- ৩য় দিন সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে এবং কাঠগোদাম পৌছাবে- ৩য় দিন সকাল ৯টা ৩০মিনিটে. ভাড়া কাঠগোদাম পর্যন্ত- স্লিপার ক্লাসে-৪১৮টাকা, এসি- ১১৪৫টাকা এবং ১৫৭৭টাকা.

নৈনিতাল এক্সপ্রেস(৫৩০৮)- আয়েশবাগ স্টেষন থেকে ছাড়বে প্রতিদিন রাত্রি ৮টা ৪৫মিনিটে এবং লালকুয়াঁ পৌছাবে পরদিন সকাল ৬টা ১০মিনিট. স্লিপার ক্লাসে ভাড়া- ১৭৩টাকা জন প্রতি, এসি- ৬২১টাকা, (৯ই আগষ্ট, ২০০৯ অনুযায়ী)


নৈনিতালে কোথায় থাকবেন-

৫০০টাকা থেকে ৭৫০টাকার মধ্যে ডাবল বেডের হোটেল প্রচুর আছে. এর থেকে বিলাসবহুল হোটেলও পাওয়া যায়. কিছু হোটেলের নাম এবং ফোন নং- হোটেল বিক্রম (২৬৩০০১), হোটেল শালিমার (২৩৫৪৩২), অলকা-দা লেক সাইড হোটেল(২৩৫২২০), বলরামপুর হাউস-মাল্লিতাল (২৩৬২৩৬), সিটি হার্ট -মাল্লিতাল (২৩৫২২৮), ইন্ডিয়া হোটেল (২৩৫৫১৭), অঙ্কুর প্লাজা (২৩৫৪৪৮), অনামিকা ওসিন (২৩১১৭৬), অশোক-বাস স্ট্যান্ডের কাছে(২৩৫৭২১), অতিথি (২৩৫০৮০), হোটেল মধুবন (২৩৫৫২২), শিবরাজ হোটেল (২৩৫৬৯৮), সম্রাট হোটেল (২৩৬২৭৩), হোটেল হিলভিউ (২৩৫৩৬১), কোনার্ক হোটেল (২৩৫৯১২), লেকভিউ হোটেল (২৩৬৪৮৯), মহারাজা-জু রোড (২৩৫২৮১), হোটেল আহুজা (২৩৫৫৬১), রোজ ভিল্লা (২৩১২২৪), প্রেম রোজ (২৩৭৫২৪), গুরদিপ (২৩৫৫২৮), গ্রান্ড হোটেল (২৩৫৪০৬), হোটেল বেঙ্গল (২৩৫৫০৩), হোটেল মানোসসরোবর (২৩৫৫৮১) ইত্যাদি.


নৈনিতাল শহরের কিছু প্রয়োজনিয় তথ্য-

হাসপাতাল (পন্ডিত বিডি পান্ডে)- ০৫৯৪২-২৩৫৬৮৬, পুলিশ কন্ট্রোলরুম- ১০০, ০৫৯৪২-২৩৫৮৪৭, গোটা উত্তরাখন্ডের জন্য এমারজেন্সি সার্ভিস (উত্তরাখন্ড সরকারের)- ১০৮


রানিক্ষেত

রানিক্ষেতে আছে সেনাবাহিনির কুমায়ুন রেজিমেন্টাল মিউজিয়ম. যেটি বুধবার বাদে প্রতিদিন খোলা থাকে. রাণিক্ষেত গেলে অবশ্যয় দেখে আসবেন এই মিউজিয়ামটি. গল্ফ কোর্স দেখতে পারেন. রাণিক্ষেতে আপেন গাছ আছে তাই এখানে আপনি টাটকা আপেল কিনতে পাবেন. কুমায়ুন শাল এবং অন্যান্য শীতবস্ত্র কিনতে পারেন. এখানে রানিক্ষেত থেকে চৌবাতিয়া যাবার পথে দেখতে পাবেন ঝুলাদেবীর মন্দীর. এই মন্দীর ঝোলানো আছে প্রচুর পিতলের ঘন্টা. যারা এখানে আসেন তারা অনেকে মঙ্গলকামনা করে ঘন্টা ঝোলান. এছাড়া মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজরিত তারিখেত (রানিক্ষেত থেকে যার দুরত্ব ৮ কিলোমিটার). রানিক্ষেত থেকে নৈনিতালের দুরত্ব- ৬০ কিলোমিটার.

রানিক্ষেতে থাকার জন্য প্রচুর হোটেল আছে, যেমন- হোটেল মুন (২২০৩৮২), হোটেল রাজদিপ (২২০০১৭), অলকা হোটেল (২২০২৬৯), ত্রিভুবন (২২০৫২৪), পার্বতী ইন (২২০৩২৫), টুরিষ্ট রেষ্ট হাউস (কেএমভিএন)


গাড়োয়াল হিমালয়-

হরিদ্বার- হরিদ্বার গাড়োয়াল হিমালয়ের প্রবেশদ্বার. হরিদ্বারে প্রতি ১২বছর অন্তর পূর্ণ কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়. গঙ্গা আরতি হয় প্রতিদিন সন্ধ্যে সারে ৬টার সময় হরকি পৌড়ি ঘাটে. প্রদিপের ডালা, ফুল গঙ্গায় ভাসান এখানে. এখানে রোপওয়ের উপর থেকে সন্ধের সময় হরিদ্বারের আলোকসজ্জা দেখতে অপুর্ব লাগে. এখানে আছে মনসামন্দীর, চণ্ডীমন্দীর, নীলধারা পক্ষীবিহার, বৈষ্ণাদেবীর মন্দীর, পবনধাম, অঞ্জনীদেবীর মন্দীর, ভারতমাতার মন্দীর, সপ্তর্ষী আশ্রম ইত্যাদি.


হরিদ্বার কিভাবে যাবেন-

উপাসনা এক্সপ্রেস (২৩২৭) এই ট্রেনটি হাওড়া স্টেষন থেকে ছাড়বে প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০মিনিটে, আসানসোল থেকে ছাড়বে- বৈকাল ৩টে ৩০মিনিটে. মোট স্টেশন (স্টপেজ)- হরিদ্বার পর্যন্ত ১৬টি. হরিদ্বারে পৌছাবে ২য় দিন বৈকাল- ৪টে নাগাদ. এবং দেরাদুন পৌছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিট নাগাদ. স্লিপার ক্লাসে ভাড়া- ৪৪২টাকা, এবং এসি - ১১৮৭টাকা, . ফেরার জন্য ২৩২৮নং ছাড়ে প্রতি বৃহ ও রবিবার দেরাদুন থেকে- সকাল ১০টা ১৫মিনিট এবং হরিদ্বার থেকে- সকাল ১১টা ৫৫মিনিট এবং হাওড়ায় পৌছাবে- পরদিন বৈকাল ৩টে নাগাদ (আসানসোলে -সকাল ১১.৪৫মিনিট) হাওড়া থেকে হরিদ্বারের দুরত্ব ট্রেনে- ১৫৩৫ কিলোমিটার.


দুন এক্সপ্রেস (৩০০৯) হাওড়া থেকে ছাড়ে প্রতিদিন রাত্রি ৮টা ৩৫মিনিটে, বর্ধমান- রাত্রি ১০টা ৩৫মিনিট, আসানসোল রাত্রি ১২টা ২০মিনিটে.হরিদ্বার পৌছাবে ৩য় দিন ভোর ৪টে ২৫ মিনিটে, দেরাদুন পৌছাবে- ৩য় দিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট. ভাড়া- সেকেন্ড এসি- ১৫৭৭টাকা, থার্ড এসি-১১৪৫টাকা, স্লিপার ক্লাসে- ৪১৮টাকা. ফেরার জন্য- ট্রেন নং- ৩০১০, দেরাদুনে ছাড়বে প্রতিদিন রাত্রি ৮টা ২৫মিনিটে. এবং হরিদ্বারে ছাড়বে- রাত্রি ৯টা ৫০মিনিটে. হাওড়ায় পৌছাবে- ৩য় দিন সকাল ৭টায় (আসানসোল-ভোর ২টো৩৫, বর্ধমান- ভোর ৪টে ২৫মিনিটে).

এছাড়া হাওড়া থেকে দিল্লীগামী ট্রেন ধরে দিল্লী চলে আসুন দিল্লী থেকে প্রচুর ট্রেন হরিদ্বার যাচ্ছে.

নতুন দিল্লী-দেরাদুন শতাব্দি এক্সপ্রেস (২০১৭)- ট্রেনটি নয়াদিল্লী থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে এবং হরিদ্বার পৌছাবে- ঐদিন সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে, দেরাদুন পৌছাবে- সকাল ১২টা ৪০ মিনিটে. (মোট দুরত্ব- ৩১৫ কিলোমিটার) ভাড়া- এসি ক্লাস এ- ৯০০টাকা

জনশতাব্দি এক্সপ্রেস (২০৫৫)- নয়াদিল্লী থেকে ছাড়বে প্রতিদিন- দুপুর ৩টে ২৫মিনিট, এবং হরিদ্বারে পৌছাবে- সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে, দেরাদুন পৌছাবে- রাত্রি ৯টা ১০মিনিটে.

এছাড়া- মসৌরী এক্সপ্রেস (৪০৪১), উজ্জয়নী এক্সপ্রেস (৪০৩৯), দেরাদুন এক্সপ্রেস (৯০১৯) ইত্যাদি.

এছাড়া দিল্লী থেকে লাক্সারি বাস, সাধারন বাস, সরকারী বাস সবসময় হরিদ্বারের দিকে যাচ্ছে. দিল্লী থেকে বাসে প্রায় ৫ঘন্টার মতো লাগে.

এস.বি.আই এর এটি.এম- (১) আঞ্চল ই.এম, রানিপুর,হরিদ্বার, (২) চিত্র সিনেমা (৩) শান্তিকুঞ্জ (৪) সেক্টার -১, ভেল

এক্সিস ব্যাঙ্কের এটি.এম- (১) ৬ হরিনগর, হরিদ্বার-দিল্লী মেইন রোড (২) শপ নং-১, প্রভাকর বিল্ডিং, চক বাজার, কনখল (৩) টি-১২৩ শিবালিক নগর, ভেল


হরিদ্বারে থাকার জন্য হোটেল-

হোটেল জুয়েল (০৯৮৯৯৮৮৬৫৬৫), আল্পনা হোটেল (রাম ঘাট, মতি বাজার- ০৯৮৬৮৫১১৯৭১), সান হোটেল (০১৩৩৪-২৬৬৯৪২‎), ক্লাসিক হোটেল (২২৮২৮১), ময়ুর হোটেল (২২৭৫৮৬), কৈলাস হোটেল (২২৭৭৮৯), গঙ্গা ভবন (২২৪৬৫৩), রামকৃষ্ণ মিশন (০১৩৩৪-২১৬১৪১, ২৪৪১৭৬, ২৪৪৯৮৫), ভারতমাতার মন্দীর (২৬০২৫৬), তুলসী মানস মন্দীর ,সপ্ত সরোবর রোড (০১৩৩৪-২৬১১৯৯, ২৬০৭৯৯), গঙ্গানিহার হোটেল (২২২৭২৮), ইস্কোন মন্দীর (২৬০৮১৮), রাহি হোটেল (৪২২৮৬৮৬), হোটেল সূর্যদয় (০৯৮৯৭০৭২২২০), হলিডে ইন (২২৬১৬৬), ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রাসবিহারী এভিনিউ, বালিগঞ্জ, কোলকাতা-১৯ (০৩৩-২৪৪০৫১৭৮, ২৪৪০২৩২৭) ইত্যাদি.


হরিদ্বার শহরের কিছু প্রয়োজনিয় তথ্য-রেলওয়ে অনুসন্ধান- ১৩১/ ২২৬৪৭৯* পুলিস- ১০০ * রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতাল- ৪২৭১৪১ * টুরিষ্ট রিসেপসন কাউন্টার- ৪২৭৮১৭ * ডি.এম- ২৩৯৪৪০


হৃষীকেশ-

হৃষীকেশ হরিদ্বার থেকে মাত্র ২৪কিলোমিটার দূরে গঙ্গাতীরে অবস্হিত. কলকাতা থেকে হৃষীকেশের দুরত্ব প্রায় ১৫০০কিলোমিটার. হৃষিকেশ যাবার সবথেকে ভালো সময় হলো মে মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত(মাছে জুলাই -আগষ্ঠ মাস বর্ষার জন্য না আসাই ভালো) হরিদ্বার থেকে নিয়মিত বাস হৃষিকেশ আসছে. বাসে অথবা অটোতে হরিদ্বার থেকে হৃষিকেশ আসতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৪০মিনিট মতো. হরিদ্বার থেকে ট্রেন হৃষীকেশ আসছে. হরিদ্বার হৃষীকেশ প্যাসেঞ্জার (হরিদ্বারে ছাড়বে প্রায়- ভোর ৩টে ৩০মিনিট, সকাল 1৫টা ১৫মিনিটে, সকাল সাড়ে দশ টা নাগাদ, দুপুর ১টা নাগাদ, এবং সন্ধ্যা৫টা ২০নাগাদ)

হৃষীকেশ এর এস.টি ডি নং-০১৩৫.

হৃষীকেশে দেখার জন্য আছে লছমনঝুলা. এটিই এখানকার প্রধান আকর্ষন. এটির দুরত্ব হৃষিকেশ থেকে ৭ কিলোমিটার. এছাড়া আছে রামঝুলা, ত্রিবেনী ঘাট(গঙ্গ, সরস্বতী, চন্দ্রভাগা, এখানে সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতি হয়), রঘুনাথ মন্দীর, হৃষীকুন্ড, রাম মন্দীর, পুস্কর মন্দীর,গঙ্গা মাতার মন্দীর, ভরত মন্দীর (রামের ভাই), স্বর্গাশ্রম(এখানে সাধু দের বাস), গীতাভবন(এখানে বিনাপয়সায় আয়ুরবেদীক চিকিত্সা সেবা পাওয়া যায়), সোমেশ্বর মন্দীর, চন্দ্রেশ্বর মন্দীর, এরপর দেখুন প্রায় ৫-৬কিলোমিটার দুরে মুনিক কি-রেতি বা লছমনঝুলায়(এই লছমন ঝুলা দিয়ে লক্ষন গঙ্গা পেরীয়েছিলেন, আগে এটি রজ্জুর সেতু ছিলো এখন এটি ইস্পাতের তৈরী), কৈলাশনন্দ মিশন আশ্রম, নীলকন্ঠ পাহাড়(ব্রম্ভাকুট, বিষ্ণুকুট, ও মনিকুট এই তিন উপতক্য নিয়ে তৈরী) ইত্যাদি. uহৃষীকেশে সরকারী হাসপাতাল- জিডি হাসপাতাল (তিলক রোড ফোন নং- ২৪৩০০৯৬)

হৃষীকেশে থাকার জায়গা-

ভারতভূমি (০১৩৫-২৪৩৩০০২), শিবলোক (২৪৩১০৫৫), আকাশগঙ্গা (হরিদ্বার রোড,২৪৩০৮৭০), দিগ্বিজয় (২৪৩১৫২৮), তপোবন রিসোর্ট(লছমনঝুলা, ২৪৪২০৯১),অশোকা হোটেল (হীরালাল মার্গ, ২৪৩০৭১৫), বৃজবাসী প্যালেস (স্বর্গাশ্রম, ২৪৩৫১৮১), ফরেনার লজ(লছমন ঝুলা রোড, ২৪৩৬০৪৬), গঙ্গাকিনারে (বীরভদ্র রোড, ২৪৩১৬৫৮), গ্রীন হোটেল (রামঝুলা, ২৪৩১২৪২), ইন্দ্রলোক (রেলওয়ে রোড,২৪৩০৫৫৫), বাসেরা (২৪৩০৭২০), সুরুচী হোটেল(২৪৩২২৬৯) ইত্যাদি. এছাড়া বিভিন্ন ধরমশালা আছে- যেমন ভগবান আশ্রম(হরিদ্বার রোড, ২৪৩১৯৩০), গঙ্গারাম মতিরাম দিল্লীবালী ধরমশালা(২৪৩৬৭১৫), রাজলক্ষী ভবন(লক্ষনঝুলা রোড, ২৪৩৫৮৩১), শাহারানপুরবালী ধরমশালা(মেইন বাজার, ২৪৩৬১৮২), সুখাখি মাই ট্রাষ্ট ধরমশালা(রেলওয়ে রোড, ২৪৩৬৬১৬), সিন্ধি ধরমশালা(ঘাট রোড, ২৪৩০৩৯৮), স্বর্গাশ্রম ট্রাষ্ট (স্বর্গাশ্রম, ২৪৩০০৮২), টোদি ধরমশালা(হরিদ্বার রোড, ২৪৩০১৭৭), যোগীনিকেতন ট্রাষ্ট(নিউ স্টেষন নিবাস, ২৪৩৩৫৩৭) ইত্যাদি.

এক্সিস ব্যাঙ্কের এটি.এম কাউন্টার- (১) ভারতবাজার, ১৬ আদর্শগ্রাম, দেরাদুন রোড, হৃষীকেশ (২) ওমকারনন্দ ভবন, কৈলাশ গেট, মুনি-কে-রেতি, হৃষীকেশ. (৩) সি.এস.ডি কমপ্লেক্স, রায়ওয়ালা ক্যান্টনমেন্ট, হৃষীকেশ. (৪) স্বর্গাশ্রম ট্রাস্ট, স্বর্গাশ্রম, হৃষীকেশ.

0 comments:

Copyright © 2015,www.bairedure.blogspot.com